জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম গোটারগ্রামে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন জন আসামী রিমান্ডে পুলিশের নিকট ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জকিগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডাকাতদের হাজির করে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই মোঃ ইমতিয়াজ সরকার আদালতকে জানান- রিমান্ডে থাকা জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের গোটারগ্রামের মোঃ এবাদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান ফয়ছল (৩০), কাজলসার গ্রামের মৃত মুদরিছ আলী (মুদই মিয়া)’র ছেলে আলকাছুর রহমান (৩৮) ও পশ্চিম গোটারগ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে মোঃ কয়ছর আহমদ (৪০)-কে গত ১০ নভেম্বর আদালতের আদেশে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়। রিমান্ডে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রিমান্ডে থাকা তিন জন ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ দেয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নগদ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন কসমেটিকস মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আসামীরা পুলিশের নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা যাচাই বাছাই চলছে বলেও আদালতে প্রেরিত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ডাকাত সন্দেহে আটক তিন জনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ ইমতিয়াজ সরকার। এ সময় রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন ও আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন এডভোকেট কাওছার রশীদ বাহার। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের পশ্চিম গোটারগ্রামের প্রবাসী মছলু হকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল মছলু হকের বসতঘরের সামনের গ্রীলের তালা ও দরজা ছিটকারী ভেঙ্গে মুখোশপরে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে পুরো ঘর তছনছ করে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১টি ল্যাপটপ, ২টি স্মার্ট মোবাইল ফোন, ২টি ব্রিফকেস, কাপড়-চোপড় সহ নগদ ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে আসলে আটকৃতরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে পুলিশের নিকট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
Leave a Reply