জকিগঞ্জ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন যোগদান করেই ডাকাত, মাদক ও ওয়ারেন্টভূক্ত অসামীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছেন। এসব অভিযানে একের পর এক চিহ্নিত ডাকাত, মাদক কারবারী ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেফতার হচ্ছেন। ওসি’র এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জকিগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটকের পর বেশ প্রশংসিত হয়েছেন ওসি মোঃ মোশাররফ হোসেন। একজন মেধাবী ও চৌকস পুলিশ অফিসার হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই।
জানা যায়, জকিগঞ্জ থানার পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (১৩ মার্চ) রাতে জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়ন-এর শাহগলী বাজার থেকে মোঃ আব্দুল কাইয়ুম নামের এক যুবককে মাদক, ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আটক করে পুলিশ। আটকের পর পুলিশ তার নিকট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতীয় ৪ বোতল অফিসার চয়েজ, ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৬৩৫ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক আব্দুল কাইয়ুম (৪০) জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়ন-এর খিলোগ্রামের মোশাহিদ আলীর পুত্র।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন-এর দিক নির্দেশনায় জকিগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম ও এসআই সামসুল হক সুমন একদল পুলিশ নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটকের সত্যতা স্বীকার করে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক কারবারী আব্দুল কাইয়ূমকে মাদক, ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ আটক করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং সোমবার সকালে আদলতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই সিলেট জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয় সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে চিহ্নিত ডাকাত, মাদক কারবারী ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। জকিগঞ্জবাসীর সহযোগিতা পেলে জকিগঞ্জ থানা পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অপরাধীদের গ্রেফতারের কোন বিকল্প নেই।
Leave a Reply