জকিগঞ্জ উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের সোনাসার এলাকার খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব হাফিজ মাওলানা মোঃ আব্দুল খালিক (৭৫) পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরনিদ্রায় কবরে শায়িত হলেন। রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৭ টা ৪৫ মিনিটের সময় সিলেট নগরীর মাউন্ট এডোরা হসপিটালে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ৩ মেয়েসহ আত্মীয় স্বজন, সহযোদ্ধা ব্যবসায়ী ও আলেম সমাজ সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে হাফিজ মাওলানা মোঃ আব্দুল খালিক একজন মুত্তকী ও পরহেজগার এবং খোদাভীরু মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন সোনাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও নয়াবাজার হাফিজিয়া মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতিও। সিলেট শহরের বসবাসের সুবাদে তিনি ছিলেন সিলেট সুবহানিঘাট হাজী নওয়াব আলী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির একজন উপদেষ্টা।
তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী, নিঃস্বার্থ সমাজসেবী এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। একজন দানবীর ও শিল্পপতি হিসাবে সিলেট শহরে ছিল তাঁর একাধিক বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অত্যন্ত সরল ও সহজ মনের অধিকারী একজন নিরহংকারী সমাজসেবক হাফিজ মাওলানা আব্দুল খালিক কোনদিন সমাজের অসহায় কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি এবং সর্বদা ক্যামেরার আড়ালে দান সদকা করতেন। হাত মোট করে গোপনে তিনি দান করতেন। কোনদিন কাউকে দেখিয়ে তিনি দান করেননি। চলার পথে সাদা পাঞ্জাবি টুপি ও লম্বা দাড়ি থাকতো সবসময়। নামাজ রোজা ও তেলাওয়াত, জিকির ও মিলাদ ছিলো তাঁর খুবই পছন্দময়। দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট সোনাসার শাখার নাজিমও ছিলেন তিনি।
সিলেটে থাকাকালীন অবস্থান করতেন উপশহরের নিজ বাসায় এবং দায়িত্ব পালন করতেন সোবহানীঘাট হাজী নওয়াব আলী জামে-মসজিদের এভাবেই কেটে গেলো জীবনের বার্ধক্যজনিত সর্বশেষ সময়ও। তাকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ সমাজের নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষজন। আত্বীয় স্বজন সহ পূরো জকিগঞ্জে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ১০ টা ৩০ মিনিটের সময় নয়াবাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
Leave a Reply