জকিগঞ্জ উপজেলার ৪নং খলাছড়া ইউনিয়নের খলাছড়া গ্রামে বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছে সুহেল আহমদ (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র।
নিহত সুহেল আহমদ একই ইউনিয়ন-এর ডিগ্রী গ্রামের আব্দুল মান্নান (লুকু মিয়া)’র ছেলে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তারাবীর নামাজ শেষে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে খলাছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ খলাছড়া গ্রামের আতাবুর রহমানের বাড়ির রাস্তা নিয়ে একই বাড়ির মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল মালিক (৫৭), আব্দুল খালিক (৫২)-এর সঙ্গে আতাবুর রহমান গংদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন আলতাফ আহমদ আতাব, তার চাচাতো ভাই কালাম আহমদ, ইমরান আহমদ ও হোসন আহমদ। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন কালাম আহমদের স্ত্রী হালিমা বেগম।
এদিকে কালাম আহমদ ও তার স্ত্রী আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে পার্শ্ববর্তী ডিগ্রি গ্রাম থেকে ছুটে আসেন কালামের শ্যালক সোহেল আহমদ, রোহেল আহমদ ও আব্দুল বাছিত। তারা বোনের বাড়ি উপস্থিত হলেই প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা করলে কুড়ালের আঘাতে সোহেল আহমদ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এলাকার লোকজন তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটের সময় সোহেল মারা যান। তার বোনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মনুহর আলীর ছেলে আলতাফুর রহমান আতাব (৪৯) বাদী হয়ে ৮ জনের নামোল্লেখ করে আরও দু’জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইউসুফ আলীর ছেলে আব্দুল খালিক (৫৫), আব্দুল মালিক (৫৭) ও আব্দুল মালিকের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২২)-কে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, মারামারি ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মারামারি মামলায় হত্যাকাণ্ডের ধারা সংযোজন করা হবে। ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply