জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন-এর ফুলতলী গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরধরে শুক্রবার ও শনিবার প্রতিপক্ষের পৃথক হামলায় মহিলাসহ ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ফুলতলী গ্রামের হাফিজ আব্দুল মুনিম চৌধুরীর স্ত্রী ফাতেহা বেগম তাপাদার।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১লা অক্টোবর) দুপুরে ফাতেহা বেগম তার পার্শ্ববর্তী ঘরের জ্যা রিনা বেগমের ঘরে গেলে পূর্ব বিরোধের জেরধরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির তার দেবর জুবের আহমদ সেখানে অনধিকার প্রবেশ করে তাকে এলোপাথাড়ি মারপিঠ করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা চেছা জখম করেন। এসময় জুবের আহমদ ফাতেহা বেগমের চুলের মুষ্ঠিতে ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানীর পাশাপাশি তার দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের লকেট চেইন নিয়ে যায়। পরদিন শনিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফাতেহা বেগমের ছেলে ওয়াছিউর রহমান চৌধুরী স্থানীয় রতনগঞ্জ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফুলতলী পয়েন্টে জুবের আহমদ ও তার ছেলে খালিদ হাসান রাহী তাকে ঘেরাও করে লোহার রড ও সুপারী গাছের রুইল দিয়ে মারপিঠ করে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে ফাতেহা বেগমের অপর ছেলে ওয়াজিউর রহমান চৌধুরী ভাইকে রক্ষার্থে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে জখম করা হয়।
এ ঘটনায় ফাতেহা বেগম তাপাদার বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় ফুলতলী গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে জুবের আহমদ (৫০) ও জুবের আহমদের ছেলে খালিদ হাসান রাহী (১৯)কে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে জকিগঞ্জ থানার এসআই আমিরুল শিকদার ঘটনাস্থল তদন্ত করেন।
এ বিষয়ে বাদী ফাতেহা বেগম তাপাদার বলেন, আমার স্বামী হাফিজ আব্দুল মুনিম চৌধুরী দীর্ঘ ৩০ বছর থেকে অন্ধ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। এ অবস্থায় আসামী জুবের আহমদ আমার বাড়ির জায়গা জমি সক্রান্ত নানা বিষয়াদী নিয়ে সময়ে সময়ে ঝগড়া করে আসছে। নিরূপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি জকিগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি।
Leave a Reply