জকিগঞ্জে নিজ বসতঘরের একটি কক্ষ থেকে সুজিয়া বেগম সাজন (৩৩) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ জুন) ভোর ৫ টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজিয়া বেগম সাজন স্থানীয় মাইজগ্রামের দুবাই প্রবাসী মোখতার হোসেনের স্ত্রী ও বিশ্বনাথ উপজেলার রশীদপুর গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে।
পরিবারের লোকজন জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে নিহতের দেবর ও খালা শাশুড়ি ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। বুধবার ভোরে হঠাৎ সুজিয়া বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত শরীর দেখতে পান তার দেবর ও খালা শাশুড়ি। এরপর তারা শোর চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনা কিভাবে ঘটেছে তা কেউই সঠিকভাবে বলতে পারছেন না।
পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা ও নিহতের ননদের ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, প্রায় ১০/১১ বছর পূর্বে তার প্রবাসী মামা মোখতার হোসেনের সাথে সুজিয়া বেগমের বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর এ দম্পতির একটি সন্তান জন্ম নিয়ে মারা গেলে সুজিয়া বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের ধারণা মানসিকভাবে অসুস্থ সুজিয়া বেগম নিজেই গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন।
তবে এলাকার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, পরিবারের লোকজন সুজিয়া বেগমকে মানসিক ভারসাম্যহীন বললেও সে মারাত্মক মানসিক রোগী ছিলনা। মঙ্গলবার সে স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করলে ঘটনার সঠিক রহস্য বের হবে।
ঘটনাস্থলে থাকা জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়া জকিগঞ্জ সংবাদকে জানান, আমরা একজন প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছি। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। তাৎক্ষণিক ঘটনার কোন রহস্য উদঘাটন করা যায়নি। তবে ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসবে।
Leave a Reply