সৌদি আরবে এক মর্মান্তিক মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জকিগঞ্জের টগবগে যুবক মনসুর আহমদ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে তিনি সৌদি আরবের তায়েফ নগরীতে মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হলে থাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা গেছে।
নিহত মনসুর আহমদ জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে। মাত্র ৭/৮ মাস পূর্বে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বলে এলাকার লোকজন জানান।
এদিকে জকিগঞ্জের বারহাল এলাকার এই যুবককের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থিক সহযোগিতার আহবান করা হলে দেশী-বিদেশী অসংখ্য মানুষ তাতে সাঁড়া দেন। প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়াদা করা হয়। ইতিমধ্যে ৮ লক্ষাধিক টাকা জমা হয়েছে বলে শাহবাগ এলাকার শাহজাহান চৌধুরী জানিয়েছেন। তন্মধ্যে সবচেয়ে বড় অংকের সহযোগিতা করেছেন ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফাহিম আল্ চৌধুরী। তিনি তাঁর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা প্রদান করে জানিয়েছেন মনসুরের লাশ দেশে আনতে উত্তোলনকৃত টাকার বাহিরে যে পরিমাণ টাকা লাগবে তা তিনি দিতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের সচিব জানান, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ফাহিম আল্ চৌধুরী নিজ দায়িত্বে মরহুমের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে চেয়েছেন, এর অন্তর্ভুক্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, বিমানভাড়া, পরিবহন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ। এছাড়া লন্ডন প্রবাসী ট্রাস্ট চেয়ারম্যানের ভাইয়েরা এবং আরও কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী এই কাজে অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন, যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি কোনো প্রচার নয় এটি এক নীরব দায়িত্ববোধ, এক আত্মিক প্রতিশ্রুতি। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন “প্রবাসে থাকা এলাকার ভাই-বোনদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা শুধু দায়িত্ব নয়, এটি একটি আমানত, যা পালন করা হয়, শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়।”
ফাহিম আল চৌধুরী সাহেব আজ এই জনপদের মানুষের জন্য ছায়ার মতো এক ভরসার নাম। আল্লাহ্ যেন তাঁর এই মহান উদ্যোগ কবুল করেন, তাঁকে উত্তম প্রতিদান দেন। আমিন।
Leave a Reply