জকিগঞ্জে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষবারের মতো শিক্ষক, রাজনীতিবীদ, লেখক ও সংগঠক মালেক আহমদ (মালেক স্যার)কে বিদায় জানালেন এলাকাবাসী। প্রিয় শিক্ষক ও নেতাকে একবার দেখার জন্যে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
রোববার (১০ এপ্রিল) আসরের নামাজের পূর্ব মুহূর্তে মালেক স্যারের মরদেহ জানাজার জন্য ডা. তফজ্জুল আলী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে আসা হলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তার দীর্ঘদিনের শতশত রাজনৈতিক সহকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ভক্ত-অনুসারী সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জড়ো হন জানাজা মাঠে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা উদ্দিন-এর পরিচালনায় জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আলোচনা করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অর্থনীতিবীদ ড. আহমদ আল কবির, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, সিলেট জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল আহাদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, ইছামতি ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল জালাল আহমদ, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন,জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকীম হায়দর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএজি বাবর, ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু জাফর মোঃ রায়হান, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের চৌধুরী, রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকারিয়া স্বপন, মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমীন চৌধুরী রিলন, মরহুম মালেক আহমদের ছোট ভাই অধ্যক্ষ মাজেদ আহমদ চঞ্চল, জামাতা নজরুল ইসলাম ও সারওয়ার হোসেন চৌধুরী রাজা প্রমূখ।
জানাজার ইমামতি করেন স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ক্বারী আজিজুর রহমান। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, মরহুম মালেক আহমদ জাতীয় পর্যায়ে পরিচালিত বেসরকারি এনজিও সংস্থা সীমান্তিকের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এক সময় পালন করেছেন। একাধারে ৩০ বছরের অধিক সময় থেকে জকিগঞ্জ উপজেলার ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। একজন শিক্ষক হিসাবেও তিনি পুরো এলাকা জুড়ে বেশ পরিচিত ছিলেন। ইছামতি উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন এবং পরবর্তীতে সীমান্তিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। এই সুবাদে জকিগঞ্জ উপজেলার বৃহত্তর কালিগঞ্জ এলাকায় তাকে মালেক স্যার হিসাবেই সকলে চিনতেন।
Leave a Reply